কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি: তিস্তার চরাঞ্চলে এবার কৃষির চিত্র পরিবর্তিত হয়েছে। ভারতের ছেড়ে দেওয়া পানিতে পরপর দুই দফা বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ বছর কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা ব্যাপক হারে গম চাষে মনোনিবেশ করেছেন এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে গম আবাদ করেছেন।
অনুকূল আবহাওয়ার কারণে কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন।সরেজমিনে তিস্তার চরাঞ্চল ও বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করে দেখা গেছে, কৃষকদের মধ্যে গম চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় তারা তামাকের বিকল্প হিসেবে গম চাষে ঝুঁকছেন। বিস্তীর্ণ চরে সবুজ আর সোনালী গমের শিষ এখন দৃষ্টি কাড়ছে। একসময় ব্যাপকহারে গম চাষ হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃষকরা আলু ও ভুট্টার দিকে ঝুঁকেছিলেন। তবে এবার পুনরায় গম চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে।উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ২৭০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২৬০ হেক্টরের চেয়েও বেশি। এ মৌসুমে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭৭ মেট্রিক টন। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কৃষকরা গম চাষ করছেন।গদাই গ্রামের কৃষক শাহাজাহান ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের আনারুল জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা গমসহ অন্যান্য ফসল চাষ করছেন এবং বর্তমান আবাদের অবস্থা দেখে তারা বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানিয়া আব্কার জানান, চলতি মৌসুমে ২১০ জন চাষিকে গম চাষে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ মৌসুমে বারি-২৫, বারি-২৬ ও দেশীয় জাতের গম চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার ফলে রোগবালাইয়ের প্রকোপ কম থাকায় কৃষকরা ভালো ফলনের আশা করছেন।
0 coment rios: