কাউনিয়া( রংপুর) প্রতিনিধিঃ কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষে গত সোমবার রাতে খানসামা হাট ইমামগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন রাস্তায় দৃর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি লাঠির আঘাতে হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুলের চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের সদস্য সোনা মিয়া (৫৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় ৭৬ জন কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আরো অজ্ঞাত ১৫-২০ জন আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ২ দিনে ৭ জন কে আটক করেছে পুলিশ।
কাউনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, নিহত সোনা মিয়ার পুত্র মোঃ আখতারুজ্জামান সোহেল বাদী হয়ে ৭৬ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে বুধবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং ০৯ /২৩ এ মামলায় আরো ১৫-২০ জন কে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহ ৭ আসামী কে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মকবুল সালাম (৪৮), হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক মোজা (৫৫), কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান (৪৫), খানসামাহাটের দোকানদার মাইদুল ইসলাম হুজুর (৫০) বালাপাড়া আওয়ামী লীগের কর্মী আবদুল গফফার (৪৫) বালাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল জলিল (৪৪),টেপামধুপুরের আউয়াল মেকার (৫৪)। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করা হয়। পরে আজ দুপুরে মামলা রেকর্ড হওয়ার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে গত সোমবার দুপুরে উপজেলার ইমামগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি'র আগমন কেন্দ্র করে শ্লোগান দেয়া কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় গ্রুপের নেতা কর্মীরা। পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার জের ওই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে খানসামা হাট ইমামগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠের রাস্তায় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে চিৎকার দিতে দিতে অপর গ্রুপের লোকজন কে খুঁজতে থাকে। এসময় নাতনি কে আইসক্রিম খাওয়াতে ইমামগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ কলোনী বাজারে আসে আওয়ামী লীগের সদস্য সোনা মিয়া। তাকে দেখতে পেয়ে দৃর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সে ঘটনা স্থলেই প্রাণ হারায়। পুলিশ খবর ঘটনা স্থলে এসে উত্তেজিত বিক্ষুব্ধ জনতা কে শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। পরে পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম) রাজিয়া সুলতানা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে দোষী গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়ে জনতা কে শান্ত করে লাশ নিয়ে থানায় আসে। নিহত সোনা মিয়া (৫৫) নাজিরদহ নয়াটারী গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র। সোনা মিয়ার বড় কন্যা জানায় তার বাবার তার বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে সন্ধায় বাড়িতে আসে। তার ছোট বোনের বিয়ের লোকজন মঙ্গলবার বাড়িতে আসার কথা ছিল। সে জন্য জামাই মেয়েকে দাওয়াত দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
0 coment rios: