সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Tuesday, November 9, 2021

জাতীয় করণের অপেক্ষায় ২০ বছর অতিবাহিত! বাঘভাষা বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানবেতর জীবন-যাপন

কাউনিয়া( রংপুর)থেকেঃ শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, নিরক্ষর মুক্ত জাতি গঠনে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র নিরক্ষরমুক্ত  দেশ ও জাতি গঠনে ২০০২ সালে এলাকার কোমলমতি শিশুদের পাঠদানের মানসিকতা নিয়ে মো: আব্দুস সাত্তার নামের এক বেকার শিক্ষিত যুবক গড়ে তুলে বাঘভাষা বে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক শিক্ষার্থী থাকলেও নেই তাদের বেতন ভাতা। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০বছর পেড়িয়ে গেলেও এখানো হয়নি জাতীয় করণ। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছে ৪জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।



খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কাউনিয়া এবং পীরগাছা উপজেলার শেষ প্রান্তে ছাওলা ইউনিয়নের হরিরাম গ্রামের শিক্ষানুরাগি আব্দুল গফুর ২০০২ সালের ২০ জানুয়ারী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে ৩৩শতাংশ জমি দলিল মূলে দান করেন। এরপর শিক্ষত যুবক আব্দুস সাত্তার এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় ২০০২ সালে গড়ে তোলে বাঘভাষা বে- সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার সাথে যোগ হয় আরো তিনজন শিক্ষক। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে শতভাগ পাশ করছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন উৎসবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করেন প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার। তবে, বিদ্যালয়টির বর্তমান বড় সমস্যা জমিদাতা আব্দুল গফুর বিগত ১ জানুয়ারী ২০১৪ সালে তার জমি ফেরত চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় পাঠদানে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।  

সম্প্রতি বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা  যায়, বেঞ্চ সংকটের কারণে শ্রেণি কক্ষে গাদাগাদি করে বসে শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহন করছেন। 

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আছমা খাতুন জানায় ক্লাসে বেঞ্চ কম থাকায় তাদেরকে গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে হয়। 

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, আমরা নিয়মিত স্কুলে আসি স্যার আপারাও  প্রতিদিন যত্ন সহকারে পাঠদান করান।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলে এই এলাকার ছোট ছোট শিশুদের শিক্ষার মান আরো বাড়বে। এছাড়া এই এলাকার শিশুরা আলোর মুখ দেখবে।     শিক্ষিকা সাদেকুন নাহার বলেন, দীর্ঘদিন যাবত জাতীয়করণের আশায় এই বিদ্যালয়ে বিনা পয়সায় শ্রম দিয়ে যাচ্ছি।  তিনি আরো  বলেন, জ্ঞানগঞ্জ এলাকায় বাঘভাষা স্কুলের আশে পাশে আর কোন বিদ্যালয় না থাকায় এই স্কুলে শিক্ষার্থী অনেক বেশি। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের আবেদন জানান।

আরেক শিক্ষিকা পারভীন বেগম বলেন, শিশুদের সাথে থাকতে তার বেশ ভালো লাগে, তাই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আছি। সরকারী অনুদান ছাড়াই দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে পাঠদান দিয়ে আসছি। তিনি আশা করেন কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে সরকার বাঘভাষা প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ করবেন। 

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠতা প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, ২০০২ সালে আব্দুল গফুর নামের একজন শিক্ষানুরাগী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেন। ৪জন শিক্ষককে সাথে নিয়ে শুরু করি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। শুরু থেকেই শিক্ষার্থীর বেশ ভালো। দীর্ঘদিন জাতীয়করণ না হওয়ায় ২০১৪ সালে জমিদাতা জমি ফেরত চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, একদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা করা অন্য দিকে মামলা চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। 

প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাগণ নিয়মিত তার বিদ্যালয় পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আশা করি বর্তমান সরকারের আমলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিদ্যালয়টি জাতীকরণ করবেন।

মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ বসুনিয়া কাউনিয়া রংপুর। তাং ০৯-১১-২১


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: