জহির রায়হান কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ কাউনিয়া উপজেলার হরিচরণ শর্মা কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্ণীতির অভিযোগ ওঠেছে। তিনি সময় মত ক্লিনিকে উপস্থিত হন না,তার খেয়াল খুশি মত ক্লিনিকে আসেন।
প্রায় সময় ক্লিনিকে আসেন সকাল এগারো টার পর। চাহিদা মত টাকা দিলে মিলে ঔষুধ না দিলে ভাগ্যে জোটেনা কোন ঔষুধ পত্র। তিনি রোগীদের নিকট টাকা নিয়ে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দ কৃত সরকারী ঔষুধ প্রদান করেন। কারো কাছে ১০ টাকা কারো কাছে ১৫ টাকা যার কাছে যেমন পারেন তেমনি টাকা আদায় করেন। প্রায় দিন তিনি রোগীদের বলেন ঔষুধ নেই। বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অপরিস্কার- অপরিচ্ছন্ন ক্লিনিক। সকাল এগারো টার সময় তালা খুলে ক্লিনিক পরিস্কার করছেন হেলথ্ প্রোভাইডার রফিকুল ইসলাম । রোগীরা তার জন্য দুই ঘন্টা ধরে বাহিরে দাঁড়িয়ে আছেন। ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা হরিচরণ শর্মা গ্রামের আলামিন মিয়া বলেন প্রায় দিন তিনি দেরীতে ক্লিনিকে আসেন, টাকা না দিলে ঔষুধ দেন না। রোগীদের সাথে প্রায় দিন খারাপ আচরণ করে। এলাকার সহজ সরল মানুষ তার খারাপ আচরণেন প্রতিবাদ না করে মুখ বুঝে সয্য করছেন। এলাকা বাসী তদন্ত সাপেক্ষ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। কমিউনিটি হেলথ্ প্রোভাইডার রফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তিনি রোগীদের কাছে জোড় পূর্বক কোন টাকা নেন না। নিয়ম অনুযায়ী টিকিট বাবদ দুই টাকা নেন। তিনি সময় মত ক্লিনিকে আসেন। রোগীর সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরণ করেন না। রোগীদের সেবা করাটাই তার চাকুরী। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মীর হোসেন বলেন রোগীদের নিকট টাকা নিয়ে ঔষুধ প্রদানের কোন নিয়ম নেই। সরকার বিনামূল্যে গ্রামের রোগীদের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকে ঔষুধ সরবরাহ করেছে। তবে রোগীদের নিকট সর্বোচ্চ দুই টাকা দান হিসেবে বাক্সের মাধ্যমে গ্রহণ করা যাবে। কমিউনিটি হেলথ্ প্রোভাইডারের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূণীতির অভিযোগ পেলে বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষ আইনী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ তাহমিনা তারিন বলেন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা কে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি।


0 coment rios: