সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Sunday, July 4, 2021

কাউনিয়ায় লকডাউন ঢিলেঢালা মানছে না অনেকেই

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সারাদেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার পরও রংপুরের কাউনিয়ার বিভিন্ন হাট-বাজারে স্বাস্থ্যবিধি অনেকেই মানছে না। ওষুধ দোকান ব্যতিত গভীররাত পর্যন্ত খোলা রয়েছে অনেক দোকানপাট। তবে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে শনিবার বিভিন্ন বাজারে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সরকারি নিদের্শনা অমান্যকারী ও ব্যবসায়ী ১৩ জনকে জরিমানা করেছে।

শনিবার সন্ধায় এবং রবিবার দুপুরে উপজেলার হকবাজার, পাইকারবাজার, নতুনবাজার, দালালহাট, সারাইবাজার, মেনাজবাজার, কলেজমাঠ, জয়বাংলাবাজার, মীরবাগ, বকুৃলতলা, জামতলা, টেপামধুপুর, সিংগারকুড়া, চারমাথা, বড়ুয়াহাট সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধ, নিত্যপন্য ও কাঁচামালের দোকান ব্যতিত সরকারি নিদের্শনা অমান্য করে বাজারে টিভি, ফ্রিজ, ইলেক্ট্রিনিক্স সামগ্রি, কসমেটিক, হার্ডওয়ার, কাপড়, রড-সিমেন্ট দোকান খোলা হয়েছে। আর এসব দোকানে গাদাগাদি করে বেচা-কেনা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে হারাগাছ পৌর এলাকায় বাজারগুলোতে গভীররাত পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা গেছে। রবিবার সকালে হকবাজারে খচর করেত আসা হারাগাছ বানুপাড়া গ্রামের সোনা মিয়া বলেন, প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণ থেকে মানুষদের বাঁচাতে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেছে। কিন্তু হারাগাছ এলাকায় অনেকে তা মানছে না। বাজার আসাতে অনেকের মুখে মাক্স নেই। ওই বাজারে আসা ক্রেতা রহিম মিয়া, সুরুজ আলী, শরিফুল সহ বেশ কয়েক ক্রেতা বলেন, কঠোর লকডাউনে মানুষ ইচ্ছে হলেই ঘরের বাইরে বের হতে পারবে না। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে আসতে পারবে না কেউ। কিন্তু বিকেল ৫টার পর বাজারগুলোতে লোকজনের সমাগম বেশী দেখা যায়। অনেকেই বিনা প্রয়োজনে বাজারে এসে খাবার হোটেল ও ফাস্টফুড, চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন মুদিদোকান মালিক বলেন, দিনের বেলায় প্রশাসন বা পুলিশ দেখলে বাজারগুলোতে কাপড়, হার্ডওয়ার, কসমেটিক দোকানের মালিকরা দ্রæত সাটার বন্ধ করে বাহিরে বসে থাকে। প্রশাসন চলে গেলে আবার তারা দোকান খুলে বেচাবিক্রি শুরু করে। তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনের নজরদারি আরো বাড়াতে হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ও লকডাউন কার্যকর করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে উপজেলা প্রশাসন। লকডাউন অমান্যকারী ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় শনিবার ১৩টি মামলায় উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ৫ জন ব্যক্তি এবং ৮জন ব্যবসায়ী মালিকের ১৬ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মাক্স পরিধান না করে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জরিমানা করা হচ্ছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান বলেন, সরকরি নিদের্শণা অমাণ্য করে দোকান খূলে রাথার অপরাধে শনিবার ৮ জন ব্যবসায়ীর জরিমানা করা হয়। বিকেল পাঁচটার পর ঔষধের দোকান ব্যতীত অন্য কোন দোকান খোলা রাখা যাবে না। সরকারি নির্দেশ অমন্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: