সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Friday, May 17, 2024

ফের ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে কাউনিয়ার মানুষ

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা নদীর ভাঙন ফের তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তার তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের। ইতোমধ্যে ভাঙনে কাউনিয়া বালাপাড়া ইউনিয়নের পাঞ্জনভাঙ্গা গ্রামের বেশকিছু বসতভিটা ও ফসলি জমি আর গাছপালা বিলীন হয়ে গেছে। জানা গেছে, নদী ভাঙনের মুখে পড়ে শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে এলাকাবাসীর দাবি- ত্রাণ নয় তাদের নদী ভাঙন থেকে তাদের বাপ-দাদার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল বাড়ি ভিটে রক্ষা করা হোক। 

এ জন্য তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ভুক্তভোগীদের।বুধবার সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার পাঞ্চরভাঙ্গা, ঢুষমারা,আরাজী হরিশ্বর, চরহয়বৎখাঁ, চরগনাই তালুকশাহাবজ, নিজপাড়া,গ্রামের হাজার হাজার পরিবার রয়েছে হুমকির মুখে রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে তিস্তার কড়াল গ্রাসে পাঞ্চরভাঙ্গা গ্রামের অন্তত শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি, বাঁশঝাড়, গাছপালা ও স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আতঙ্কে আছেন আজিজুল,হাফেজ,শুরুজ আলি,তারা মিয়া,বাবুল,শহিদুল,রাজ্জাক,ফুল মিয়া,আলেফ,শাহিন,মোস্তাক,আমজাদ,ওসমান,রফিকুলসহ আরো অনেকেই ।

 ভাঙ্গনের খবর পেয়ে গত বুধবার বিকালে পরিদর্শনে আসেন মোঃ আহসান হাবীব,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) ও মোঃ আখিনুজ্জামান,উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী, রংপুর পওর উপ-বিভাগ-১, বাপাউবো, রংপুর। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগনেতা মোঃ ইউছুব আলী,পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের মেম্বার মোঃ শাহ আলম,নিজপাড়া গ্রামের মেম্বার মোঃ আনোয়ার হোসেন,প্রমুখ। পরিদর্শন শেষে মোঃ আহসান হাবীব,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) বলেন, ১৯০ মিটার পাড় টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ চলমান সে যায়গা ভাল আছে। বাকি জায়গায় জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জিও ব্যাগ বরাদ্ধ এনে ভাঙ্গনের গদিপদ কমানোর চেষ্টা করবো।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল হক বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ভাঙ্গন রোধের জন্য যা যা করণীয় দরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। নদীর গভিরতা কম সেই জন্য বেশি ভাংতেছে আমাদের ধারনা। প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: