সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Thursday, October 26, 2023

নতুন করে ভাঙ্গন-কাউনিয়ায় নদী পাড়ের মানুষের কান্না থামছে না

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ কাউনিয়ায় উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রাম দুটিতে নতুন করে আবাও তিস্তা নদী ভয়াবহ ভাঙ্গনের খেলার মেতে উঠেছে। তিস্তার ভাঙ্গনে ফসলী জমি ও বাড়ি-ঘর হারিয়ে নদী পাড়ের মানুষের কান্না যেন থামছে না। 

সরেজমিনে নদী ভাঙ্গন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে নদীর এ পাড় ভাঙ্গে, ও পাড় গড়ে, এই তো নদী খেলা। আর এই ভাঙ্গা গড়ার খেলায় গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামে গত একসপ্তাহে নতুন করে ভাংতে ভাংতে প্রায় ১০০ মিটার ভিতরে প্রবেশ করেছে নদী। প্রতিদিনি শতশত হেক্টর ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে নদী, আর ফসলি জমি হারা মানুষের কান্নায় আকাশ বাতাস ভাড়ি হয়ে উঠছে। গদাই গ্রামের গফুর আলী মন্ডল জানান, খরস্রতা তিস্তা নদী স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও খনন না করায় প্রতি বছর গিলে খাচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলী জমি আর শতশত বাড়ি ঘর। বর্তমানে গদাই গ্রামে শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন। গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের অর্ধেকেরও বেশী ফসলী জমি ও বেশ কিছু বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনে ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা দুই গ্রামের নদীপাড়ের মানুষ। রবিউল ইসলাম জানান নদী ভাঙ্গন রোধে আশ্বাসের বানী শোনায় মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যান ও প্রশাসন। কাজের কাজ কিছুই হয় না। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদারকিতে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও কাজের কাঝ কিছুই হচ্ছে না।নদী ভাঙ্গনে ফসলী জমি আর বাড়ি ভিটা হারিয়ে পথে বসেছে শতশত মানুষ। তাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই। তিস্তা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। ফলে আতংকে দিন কাটাচ্ছে নদী তীরবর্তি মানুষ গুলো। নদী গর্ভে বাড়ি ও জমি বিলিন হয়ে যাওয়া বাবুল, ইউনুছ ভান্ডারী, ওসমান, রহমান, রাজ্জাকসহ অনেকে জানান, সবাই শুধু আসেন দেখে আশ্বাস দেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। বালাপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামে অনেক ফসলী জমি ও বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রংপুর এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব, নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক গদাই গ্রামের নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জিও ব্যাগ ভেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চলছে। কিন্তু কোন সুফল পাচ্ছে না নদী পাড়ের মানুষ। গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামে মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি রক্ষায় সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দাবী করেছেন।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: