রংপুর জেলার কাউনিয়া থানাধীন ২ নং হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ মৌজার নাজিরদহ পাটোয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর হইতে মোটরসাইকেল চুরির সময় ১. মোঃ জয়নাল আবেদিন (২৫), পিতা - মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, সাং - বৈরী হরিন মারী, থানা- পলাশ বাড়ী, গাইবান্ধা ও ২. মোঃ সাদিকুল ইসলাম (২৫) পিতা- মোঃ মতিউর রহমান, সাং স্বরনজামী খলাইঘাট, থানা-সদর, জেলা লালমনিরহাটদ্বয়কে স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আটক করে। পরে সংবাদ পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ আটক চোরদের জিম্মায় নিয়ে থানায় নিয়ে আসে। আটক চোরদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র এলাকায় ইতিপূর্বে সংঘটিত চুরির বিষয়ে তারা তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্য মতে সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) জনাব মোঃ আশরাফুল আলম পলাশের নির্দেশনায় কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মোন্তাছির বিল্লাহর পরিকল্পনায় কাউনিয়া থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানা ও গোবিন্দগঞ্জ থানা এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে মোটর সাইকেল চোরাকারবারির সাথে জড়িত অপর ৪ আসামি ১. মোঃ গোলাম রব্বানী টিটন (২৮), পিতা মোঃ বাবু মিয়া, সাং ভগবান পুর, থানা- পলাশ বাড়ী, গাইবান্ধা, ২. মোঃ মানিক মিয়া (২৬), পিতা মোঃ ভোলা মিয়া, সাং দরবস্ত, থানা- গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা, ৩. মোঃ মমিন মিয়া (৩৮), পিতা মোঃ আঃ রহমান, সাং চাপাবাড়ি, থানা পীরগঞ্জ, রংপুর, ৪. মোঃ আঃ রউফ (৪২), পিতা মৃত আলহাজ্ব আব্দুল বাকী, সাং বুজরুক ট্যাংড়া, থানা পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা গংদের আরো ০৪ টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) জনাব মোঃ আশরাফুল আলম পলাশ জানান, গতকাল কাউনিয়া থানা এলাকায় আটক ২ চোরকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে তাদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে আরও ৪ জন সহ মোট ৬ জন আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে মোট ৫ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কিছু তথ্য যাচাই বাছাই চলছে এবং অভিযান চলছে। এছাড়া উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল মালিকদের সন্ধান পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


0 coment rios: