মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,কাউনিয়া (রংপুর)প্রতিনিধিঃ কাউনিয়া উপজেলায় বেওয়ারিশ বা পথ কুকুরের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে এলাকাবাসী। উপজেলার একাধিক গলি দখল করে নিচ্ছে কুকুরের দল। রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে কুকুরের ভয়ে আতঙ্কে থাকছেন পথচারীরা।
শুধু পথচারীদের দেখেই নয়, চলন্ত যানবাহন দেখেও ধেয়ে আসছে কুকুর গুলো। কুকুরের আক্রমণ থেকে নিস্তার পেতে কুকুর নিধন দাবি উপজেলাবাসীর। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় সরকারিভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে কুকুর নিধন অভিযান পরিচালনা করা হত। কিন্তু কয়েক বছর থেকে বাংলাদেশে কুকুর নিধন বন্ধ করা হয়েছে। যে কারনে উপজেলার সর্বত্র আশঙ্কাজনক হারে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা ও উৎপাত দিন দিন বেড়েছে। কুকুরের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। সরেজমিনে,কাউনিয়ায় সানাইমোড়, বাসস্ট্যান্ড,তকিপল বাজার, টেপামধুপুর,ভায়ারহাট, মীরবাগ, শহিদবাগসহ বিভিন্ন হাটবাজার ও বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে অসংখ্য কুকুর ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায়।এর মধ্যে অতিমাত্রায় বেওয়ারিশ কুকুেেরর বংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কুকুর গুলো দলবেধে ঘুরছে উপজেলার অলিগলিতে। অটোরিকশা চালক বাতেন আলী বলেন, এভাবে কুকুর বৃদ্ধির ফলে রাস্তায় চলাচলে ব্যাপক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। ব্যাবসায়ী রেজাউল করিম মিঠু বলেন,ছাত্র/ছাত্রীদের সমস্যা বেশি হয়। তারা দল বেঁধে ঘেউ ঘেউ করে তাড়ায়। বিশেষ করে ভোর ও রাতে কুকুরের অত্যাচার বাড়ে। কেউ তাদের তাড়াতে গেলে কুকুর দল উল্টো তাকে তাড়া করে। জানা যায়, বিগত সময়ে দেশব্যাপী কুকুর নিধন অভিযান শুরু হলে একজন মানবাধিকারকর্মী তা বন্ধ করার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে এ অভিযান বন্ধ রয়েছ। পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে আর কোন নির্দেশনা আসেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার ডাঃ মনোজিৎ কুমার সরকার বলেন,প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ভ্যকসিন দেওয়ার চেষ্টা করবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মীর হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জলাতঙ্কের টিকা পাওয়া যায়না কারো প্রয়োজন হলে জেলাসদরে যেতে হয়।

0 coment rios: