চাপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ তোহাখানা নিয়াম-তিয়া আলিম মাদ্রাসার অফিস সহকারি মোঃ সাইদুর রহমান এর কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তার নিজ পরিচালিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারের শিক্ষার্থী মোসাঃ সাথী খাতুন।
গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক ছয় ঘটিকার সময় এ ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনা কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীর আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসী ওই অফিস সহকারী সাইদুর রহমানকে বেধড়ক মার্কধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা সাইদুর রহমানকে ঐতিহাসিক সোনামসজিদ বাজারের যাত্রী ছাউনির সাথে বেঁধে রাখেন এবং মারধর করে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির সহযোগিতায় তার দুই ভাই মোঃ শমসের আলী ও মোঃ ইব্রাহিম আলী সামাজিক বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের জিম্মাই রেখে চরিত্রহীন লম্পট সাইদুরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এবং তারপর থেকেই শোনা যায় যে বিষয়টি আর্থিক বিনিময়ে গোপনে আপস সমাধান করা হয়েছে।
মোঃ সাইদুর রহমান প্রাচীন বাংলার বিশ্বস্ত রাজধানী গৌড়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত তোহাখানা নিয়ামতিয়া আলিম মাদ্রাসার অফিস সহকারী পদে দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত আছেন।
মোঃ সাইদুর রহমান ,কয়লা বাড়ি, আলহাজ্ব আবুল কাশেম এর ছেলে এবং সাথী খাতুন পাশের সালামপুর গ্রামের খাইরুল ইসলামের মেয়ে।
ঘটনা স্থলে গেলে এলাকাবাসী জানান, সাইদুর রহমান একাধিকবার নারি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রমাণিত হয় এবং নানান অসাধুপন্থায় পার পেয়ে যান , নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভাই বলেছেন, এমন চরিত্র শ্লীলতাহানি জন্য এ দেশের প্রশাসনের কি কোন কিছুই করার নেই, এমন এক দ্বীনী প্রতিষ্ঠান কর্মচারীর একাধিক নারী কেলংকারীর ঘটনা ঘটবে আর দেশের প্রশাসন নিরব দর্শকের ন্যায় চেয়ে দেখবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , ঘটনাটি সত্য প্রমাণিত হয়েছে এবং এর বিষয়ে খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 coment rios: