কাউনিয়া(রংপুর)প্রতিনিধিঃকাউনিয়া টেপামধুপুর ইউনিয়নের বাইতুস সালাম জামে মসজিদে প্রায় ৬বছর যাবৎ ইমামতি করেন আব্দুল লতিফ তিনি বলেন বছরে ১৩ হাজার টাকা ও পাঞ্জাবি,পায়জামা পাই।একটি সমাজের ২-৩শত পরিবার যদি ইমাম,মোয়াজ্জেম ও খাদেম এর সম্মানী বর্তমান পন্যর দাম এর কথা ভেবে সমন্নয় করে দেওয়া হলে পরিবার নিয়ে সম্মান এর সাথে বেচে থাকবে।
এ মসজিদের মোয়াজ্জেম ও খাদেম এর দায়িত্ব পালন করেন মোঃ ফজলুল হক তিনি বলেন ৪হাজার ৩শত টাকা সম্মানী দেওয়া হয় আমাকে। এটা দিয়ে একটি পরিবার চলে কিনা আপনারাই বলেন? মাস শেষে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে চাঁদা তুলে বেতন দেওয়া হয় তাঁকে। অনেক সময় দুই মাস পরও পান বেতন। প্রতি মাসেই ধারদেনা বাড়ছে।ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাউনিয়া উপজেলার পৌরসভাসহ ৬ টি ইউনিয়ন মিলে ৫৫৬টির বেশি মসজিদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭২টি ওয়াক্তিয়া। বাকিগুলো জামে মসজিদ। প্রায় প্রতিটিতেই একজন করে ইমাম ও মুয়াজ্জিন রয়েছেন। অনেকে দুই দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করেন। ইমামতির পাশাপাশি মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের মাসিক বেতন ৫ হাজার টাকা। আবার মুয়াজ্জিন ও খাদেম এর দায়িত্ব পালন করছেন অনেকে।পূর্বচান্দঘাট আহমাদিয়া জামে মসজিদ এর ইমাম মোঃ শাহিনুজ্জামান আরশাদ বলেন আমাকে ৩হাজার টাকা সম্মানী দেন। মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খতীবগণ হচ্ছেন সম্মানের পাত্র। তারা হচ্ছেন নামাজের মত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের জিম্মাদার।মেয়াজ্জেম লিয়াকত আল বলেন, “ইমাম হচ্ছেন জামিনদার আর মুয়াজ্জিন হচ্ছেন জিম্মাদার।আমাদের সম্মানী নিয়ে কমিটিকে ভাবা উচিৎ।দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ধর্মমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেশের সব মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খতিবদের সরকারিভাবে বেতন-ভাতা দেওয়ার দাবি জানান সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ উনার দাবিকে সমর্থন জানাই।তাঁরা শুধু জীবিকার তাগিদেই দায়িত্ব পালন করেন না, দ্বিন ইসলামের পবিত্র দায়িত্ব মনে করেন।সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি মুহতামিমদের সাথে আলাপকালে জানাগেছে, নামাজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করার ক্ষেত্রে ইমাম-মুয়াজ্জিনের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে আজান দেওয়া ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এর দ্বারা দৈনিক পাঁচবার আল্লাহর একত্ববাদ ও বড়ত্বের ঘোষণা দেওয়া হয়। আজানের ধ্বনিতে খোলে আকাশের দুয়ার; কবুল হয় বান্দার ফরিয়াদ। ইমাম সাহেব পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়াও মুসল্লিদের নামাজ শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামের মৌলিক বিষয়ে ধারণা দেন।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পরও তাঁরা ন্যায্য সম্মানী পান না।ইসলামে
0 coment rios: