সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Sunday, March 10, 2024

কাউনিয়ায় ব্রীজ নির্মাণ কাজে প্রকৌশলীসহ শ্রমিককে মারধর-থানায় মামলা

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পশ্চিম বাহাগীলি গ্রামের আমতলা বাজার এলাকায় সরকারী কাজে স্থানীয় একটি দুর্বৃত্তচক্র কর্তৃক বাধাসহ ব্রীজ নির্মাণ কাজে প্রকৌশলীসহ শ্রমিককে মারধর এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জাকা উল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স লিঃ এর ম্যানেজার মোঃ বাদশা আলম বাদী হয়ে গত ৪ মার্চ রাতে চিহ্নিত আঃ রহমান (৫২) সহ ১০জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০জন কে আসামী করে কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩/৩৪। মামলা সূত্রে জানাগেছে নব্দিগঞ্জ থেকে টেপামধুপুর জনগুরুত্বপূর্ন সড়কের আমতলা বাজার সংলগ্ন ১কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৫মিটার পাকা সেতু নির্মানের কাজ পায় জাকা উল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স লিঃ চুয়াডাংগা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মান কাজ শুরু করার পর থেকে কাজ বন্ধ করার জন্য উঠেপরে লাগেছে একটি দুর্বৃত্তচক্র। গত ২৯ ফেব্রুয়ারী রাতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আঃ রহমানসহ ওই চক্রটি ৩০-৪০জন লাঠিশোঠা, লোহার রড নিয়ে এসে ব্রীজের কাজ বন্ধ করার জন্য শ্রমিকদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। লোকজন এর সমাগম দেখে সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ মিয়া এগিয়ে আসলে একপর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ী মারপিট শুরু করে। পরে শ্রমিকগন সহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মোঃ বাদশা আলম এগিয়ে আসলে এদেরকেও মারপিট শুরু করলে অনেক শ্রমিক প্রান ভয়ে পালিয়ে যায়। মারপিটে শ্রমিক আকতারুল, কামাল, বাবু মিয়াসহ অনেকে আহত হয় এবং ম্যানেজার বাদশা আলমের প্যান্টের পকেটে থাকা পাথর ক্রয় করার ৬,৬৫৫০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে কাজ করতে দিবে না বলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা সটকে পরে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের কাউনিয়া মেডিকেলে ভর্তি করা হলে শ্রমিক আকতারুলের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এজাহার ভূক্ত ওই চক্রের আসামী গত ২০২১ সালেও একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে মারধর করলে আর কোনদিন এমন কাজ করবেন না বলে মুচলেকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে আহত উপ-সহকারী প্রকৌশলী (রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প) মোঃ ফিরোজ মিয়া বলেন সেদিন আমি লোকজন দেখে এগিয়ে গেলে আমাকেও তারা মারডাং করে। আমি স্যারকে বিষয়টি জানানিয়েছি। কাউনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি জানান, আমাদের প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের মারধর, সরকারি কাজে বাধা প্রদানের বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি উনারা যে নির্দশনা দিবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোঃ সাজু মিয়া জানান অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আমরা গিয়েছি এবং এখন পর্যন্ত ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকিরা পলাতক আছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটির ব্রীজের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবী জানিয়েছেন।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: