কাউনিয়া(রংপুর)প্রতিনিধিঃ গাছ পরিবেশ ও মানুষের পরম বন্ধু। কিন্তু উপকারী বন্ধু এই গাছ হলেও মানুষের নির্মম অত্যাচার থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার পৌর শহর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কের পাশের গাছে গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো হচ্ছে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক নেতাদের শুভেচ্ছা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার এবং পণ্যের বিজ্ঞাপন।
এতে করে গাছগুলো রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। ইতিমধ্যে মারা গেছে অনেক গাছ। হারিয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিক সৌন্দর্যও। সম্প্রতি পৌরশহর সহ উপজেলার সানাই মোড়,বাস স্ট্যান্ড,রেল স্টেশন,তকিপল বাজার,থানা এলাকা,কলেজ মোড়,মেডিক্যাল মোর,রেল গেট, টেপামধুপুর,কুর্শা,হারাগাছ,সারাই ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের পাশের গাছে গাছে ঝুঁলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের শুভেচ্ছা ও কোচিং সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক, হারবাল কোম্পানীর প্রচারণার অসংখ্য ফেস্টুন। এসব ফেস্টুনের অধিকাংশই পেরেক দিয়ে গাছে আটকানো হয়েছে। উপজেলার পরিবেশ সচেতন বাংলাদেশ কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য এম এ হক আকরাম ‘প্রাণিকুলের বেঁচে থাকার জন্য প্রধান উপাদান গাছ। এই গাছের যে প্রাণ আছে, অনুভূতিশক্তি আছে তা প্রমাণিত। তবে গাছের বাকশক্তি নেই। গাছ সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে আমাদের জীবন বাঁচিয়ে রাখছে। উপকারের প্রতিদান হিসেবে গাছে পেরেক মেরে মানুষ তার প্রতিদান দিচ্ছে। আমাদের বিবেককে জাগ্রত করা দরকার।তিস্তা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোঃ সাইফুল ইসলাম শিপন বলেন ‘সড়কের পাশের অধিকাংশ গাছে পেরেক মেরে বোর্ড টাঙানো হয়েছে। গাছে নির্বিচারে পেরেক লাগানোর কারণে সড়কের অনেক গাছের ক্ষতি হচ্ছে। গাছে পেরেক মারা বন্ধ না হলে অনেক গাছ মরে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। এ ব্যাপারে কাউনিয়া উপজেলার বনবিভাগের কর্মকর্তা মোঃ নূরনবী(পীরগাছা রেঞ্জ কাউনিয়া-পীরগঞ্জ) সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, গাছে পেরেক মারা অন্যায়, গাছে পেরেক মারলে ওই অংশে পানি জমে গিয়ে গাছের ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়ে আমি আমার উদ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এব্যপারে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে আপনাদের জানিয়ে দিব।
.jpg)

0 coment rios: