সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Sunday, July 17, 2022

বাহাদুর কে নিয়ে হতাশায় বাড়ি ফিরলেন কাউনিয়ার নজরুল

কাউনিয়া রংপুর প্রতিনিধি ঃ কাউনিয়া উপজেলার সব চেয়ে বড় কোরবানির গরু প্রায় ১৬০০ কেজি (৪০ মণ) ওজনের বাহাদুরের ক্রেতা না থাকায় হতাশ হয়েছেন হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন কাউনিয়ার ক্ষুদ্র পশু খামারি নজরুল ইসলাম। গ্রামীন ব্যাংকের চাকরী শেষে কিছুটা হতাশায় পরেন তিনি। পরে স্ত্রীর পরামর্শে ৩টি গরু দিয়ে ২০১৪ সালে প্রথম খামার শুরু করেন। প্রথম দিকে তেমন লাভ না হলেও ধীরে ধীরে তার খামার



 লাভের মুখ দেখতে থাকে।বর্তমানে তার প্রচেষ্টায় খামারে ২১ টি গরুর মধ্যে রয়েছে ৮টি দুধের গাভী ।প্রতিদিন গড়ে ১৬০ লিটার করে দুধ বিক্রি করেন তিনি। বাহাদুর তার নিজের খামারের একটি গরুর বাছুর ১৬০০কেজি ওজনের বাহাদুর কে কোরবানি ঈদে বিক্রি করতে না পারায় হতাশায় ভ’গছেন।তিনি চেয়েছিলেন নিজ খামার থেকেই  বাহাদুর কে বিক্রি করবেন। কিন্তু ক্রেতা না আসায় ঈদের আগে সোমবার ১০ জন মিলে জেনারেটর,ফ্যান, পিকাব নিয়ে ঢাকা বাড়ি ধারার হাটে নিয়ে গেলে দাম করেনি ত্রেতা । ৯৩ হাজার টাকা খরচ করে বিক্রি করতে পারলেন না। দুই একজন ক্রেতা আসলেও  বাহাদুর  দাম করেছেন মাত্র ২ একজন। এদিকে বাহাদুরে পিছনে প্রতি সপ্তাহে খরচ হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা টাকা পালন খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ। অথচ দাম করা হয়েছে মাত্র লাখ টাকা। এত লোকসান দিয়ে গরু বিক্রি করেননি তিনি। যদিও বাহাদুরের দাম হেঁকেছিলেন ২৫ লাখ টাকা।কারণ হিসেবে গরু ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের কোরবানির ঈদে বড় গরুর তেমন একটা চাহিদা ছিল না। মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা ছিল বেশি। যে কারণে বড় গরু বিক্রি করা যায়নি।খামারি নজরুল ইসলাম বলেন, দেশীয় খাবার দিয়ে এবং ইনজেকশন না দিয়ে গরু বড় করা সম্ভব সেটি আমি প্রমান করতে চেয়েছি। সেই সাথে বেকার যুবকদের বুঝাতে চেয়েছি চাকরীর পিছনে না ছুটে সৎ ভাবে একাগ্রতার সাথে সাথে নেক নিয়তে খামার করলে অন্যকে চাকরী দেয়া সম্ভব। কিন্তু ক্রেতা না আসা ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ষাঁড় বেচতে পারলাম না। এত কষ্ট করে বড় ষাঁড় গরু লালন পালন করে লাভ কি? ক্রেতা পাওয়া যায় না। আমি আর কষ্ট কইরা বড় গরু লালন পালন করমু না। তিনি আরো বলেন, এমন বড় গরু ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে না পারলে খামারিরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। এজন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের আরো সহযোগিতা বাড়াতে হবে। তা না হলে এক সময় ক্ষুদ্র খামারিরা আর বড় গরু লালন পালন করবে না।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: