কাউনিয়া(রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুরের কাউনিয়ায় বীর নিবাস নির্মাণের শুরুতেই তা ধসে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের নলঝুড়ি এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী বিনোদ চন্দ্র নামে নির্মাণাধীন বীর নিবাসের দেয়াল গত বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ রাতে ধসে পড়ে। নির্মাণকাজ শেষের আগেই দেয়াল ধসে পড়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কাউনিয়ায় ১২টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার নামকরণ হয় বীর নিবাস। এ উপজেলায় প্রথমধাপে ১২টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি ঘরে নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৬১৮ টাকা। গত ০৩ ফেব্ররুয়ারী নির্মাণকাজের উদ্ধোধন করে উপজেলা প্রশাসন।বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী বিনোদ চন্দ্র অভিযোগ করে বলেন,শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভুমিহীন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাকে দিয়েছেন কিন্তু নির্মান চলাকালীন তা ধসে পরে।আমি এত কিছু বুঝি না ,আমি ঘরের জন্য যুদ্ধ করি নাই, দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। কাজ নি¤œমানের না হলে ধসে পরার কথা না। বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী বিনোদ চন্দ্রর ছেলে অভিযোগ করে বলেন আমি অভিযোগ করলে কাউনিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব সরকার রেগে গিয়ে বলেন কারো সমস্যা হয় না খালি
আপনাদের হয়।স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে দেখেন নির্মাণাধীন ভবনের একাংশের দেয়াল এর ধস। কারন হিসেবে সিমেন্টসহ অন্যান্য সামগ্রী কম দেওয়ায় দেয়ালটি ধসে পড়েছে। ১৪-১৫ লাখ টাকার মধ্যে মনে হয় ৫-৬ লাখ টাকার কাজ করবে না।বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগী মোঃ মঞ্জুম আলী বলেন, কুর্শা ইউনিয়নের নলঝুড়ি এলাকায় যে মুক্তিযোদ্ধার নামে ভবন করা হচ্ছে কেউ শত্রæতা করে ধাক্কায় দেয়াল ফেলে দিয়েছে। কাউনিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব সরকার ফোনে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,এসিল্যান্ড সহ আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী বিনোদ চন্দ্র বীর নিবাস নির্মাণে গাঁথুনি ধসে পরার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি ।এখানে মিস্ত্রির কিছু গাফিলতির কারনে এমন হয়েছে।আমরা ঠিকাদারকে বলেছি যেখানে সমস্যা হয়েছে ঠিকাদার নতুন দেয়াল করে দেবে।এ বিষয়ে ফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা তারিন জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী বিনোদ চন্দ্র এর নিবাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিউরিং কম হওয়ায় এবং মসলার রেশিওর মেজারমেন্ট ঠিক না থাকায় এমনটা ঘটেছে। তবে ঠিকাদারকে ভেঙ্গে পরা অংশ নতুন করে নির্মাণ করতে বলেছি না করলে ব্যাবস্থা নিব।

0 coment rios: