সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Friday, December 10, 2021

বাগেরহাটে মারধর করে সুঁই খাওয়ানোর অভিযাগ

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের কচুয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ফেরদাউস শেখ (১৮) নামের এক যুবককে কলার সাথে সুঁই খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য নালীতে সুই নিয়ে ২২ দিন ধরে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন ওই যুবক। এই অবস্হায় হতদরিদ্র পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ফেরদাউসের চাচাতো ভাই নিজাম শেখ কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযাগ দিয়েছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফেরদাউস শেখ, কচুয়া উপজেলার সানাকুড় গ্রামের জামাল শেখের ছেলে।

নিজাম শেখ বলেন, জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় আমার ছোট চাচা জামাল শেখের ছেলে ফেরদাউস শেখকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বেধরক মারধর করে প্রতিবশী এশারাত শেখ, বাদশা শেখ, মোস্তফা শেখ ও হাবিব শেখ। মারধরের এক পর্যায়ে পাকা কলার ভিতর সুই ঢুকিয়ে জোরপূর্বক ফেরদাউসকে খাওয়ানো হয়। পরে ফেরদাউসের ডাক চিৎকারে স্হানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে, তারা ফেরদাউসকে ছেড়ে দেয়। অসুস্হ্য অবস্হায় ফেরদাউসকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দেয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ, খালিশপুর ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্হান ঘুরে টাকার অভাবে সুচিকিৎসা না পেয়ে ৮ ডিসেম্বর খুলনা শহরের সাউথজান ক্লিনিকে ফেরদাউসের অপারেশন করানো হয়। এখনও আমার ভাই সুস্হ্য হয়নি। চিকিৎসকেরা বলেছেন তিন মাস পর আবারও একটি অপারেশন করা লাগবে।
ফেরদাউসের আরেক চাচাত ভাই ইব্রাহিম শেখ বলেন, খুব কষ্ট করে ভাইয়ের চিকিৎসা করাচ্ছি। যার ফলে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহনের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছি। বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) মারধরকারীদের লোকজন ফেরদাউসকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিল। চিকিৎসার জন্য তারা কিছু টাকাও দিয়েছেন। সুঁই বের করার জন্য অপারেশন করা হয়েছে। তারপরও আমার ভাই সুস্হ্য হয়নি। আবারও অপারেশন লাগবে, বাঁচবে কিনা জানিনা। আমরা ভাইয়ের সুস্হ্যতাসহ, মারধরকারীদের বিচার চাই।
এশারাত শেখ বলেন, ফেরদাউস শেখদের সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত শত্রুতা রয়েছে। তবে সুই খাওয়ানোর ঘটনায় আমরা জড়িত নয়। চিকিৎসার ব্যয় বহনের জন্য টাকা দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে আর ফোন রিসিভ করেননি এশারাত শেখ।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেরদাউসের পরিবার আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযাগ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: