বাগেরহাট প্রতিনিধিঃআজ থেকে চার বছর আগে ছেলেকে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তোভোগী এক দরিদ্র পিতা। ওই পদের চাকরি দেওয়ার নাম করে চার বছর আগে তার কাছ থেকে সুকৌশলে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আপন ভাগিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত এক প্রধান শিক্ষক। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে এই মর্মে সম্প্রতি একটি অভিযোগ করেছেন তিনি। স্থানীয় সংসদ সদস্য অভিযোগটির তদন্তের ভার দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯৫ নং বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার ২০১৭ সালে আপন মামাত ভাই মোঃ আরিফ বিল্লাহকে ওই স্কুলে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে চাকরি দেবার প্রস্তাব দেয় মামা আব্দুল হাই'র কাছে। অফিস ম্যানেজের কথা বলে তিন কিস্তিতে মামা আব্দুল হাই হাওলাদারের কাছ থেকে নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করে ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক । বিষয়টি তখনকার এসএমসি কমিটি অবগত বলে জানিয়েছেন আব্দুল হাই। আর এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৎকালীন কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য।
আব্দুল হাই আরো জানান, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ইস্যুকৃত পরীক্ষার প্রবেশপত্র পেয়ে ছেলেটি শহরের চাকরি ছেড়ে গ্রামে চলে আসে। পরে এ পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে বলে আমাদেরকে ওই শিক্ষক জানায়।
এর পূর্বে ভারপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই'র কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করে। আব্দুল হাই ওই টাকা জমি বিক্রি এবং কর্জ করে এনে তাকে দেয় বলে জানান। এতদিন পরেও আজ কাল বলে টাকা ফেরত দেই নি সে। সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর ওই স্কুল চলাকালীন তার কাছে টাকা চাইলে সে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দেবেনা বলে স্পষ্ট বলে দেয়। ফলে উপায়ান্তর না পেয়ে মাননীয় সংসদ সদস্যের কাছে পাওনা টাকা আদায়ের ব্যাপারে গত ২৪ অক্টোবর একটি দরখাস্ত করে আব্দুল হাই। যার তদন্তের ভার সংসদ সদস্য দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ৯৫ নং বরইতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার জানান, আমার কাছে টাকা পাবার কোন প্রমাণ তারা দেখাতে পারবে না বরং আমি তাদের কাছে টাকা পাব তার প্রমাণ আমার কাছে আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগামী ১৭ নভেম্বর শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে। এতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: