মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,কাউনিয়া (রংপুর)প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়েছে কাউনিয়ার শিল্পকলা একাডেমির সব কার্যক্রম।আর সঙ্গে সঙ্গেই ফের সরব হয়ে উঠেছে কাউনিয়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গন। দীর্ঘদিন পর আলোর ঝলকানি ও সংস্কৃতিকর্মীদের শৈল্পিকতায় নতুন করে প্রাণ ফিরে পেলো একাডেমির মঞ্চ। স্টুডিও সংগীত শিল্পী ও সংগীত শিক্ষার্থীদের আগমনে সুরের মূর্ছনা ছড়াচ্ছে।
সরেজমিনে শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক মোঃ দিলদার আলী জানিয়েছে, পুনরায় সরকারি প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন শেষে একাডেমির সব কার্যক্রম যথারীতি চালু আছে। সংগঠনের চহিদা অনুযায়ী নীতিমালা অনুসরণ করে রুটিন মাফিক শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। নীতিমালা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যকলাপ চালাচ্ছি।সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে শরৎ উৎসবের রঙে প্রাণের উচ্ছ্বাস তৈরি হয় সমগ্র একাডেমি জুড়ে। সবমিলিয়ে শিল্পী ও ছাত্রদের কোলাহলে ছুটির দিনের সন্ধ্যাটা মুখরিত ছিল শিল্পের আলোয়।দীর্ঘবিরতির পর শুক্রবার সন্ধ্যায় আসছে নিয়মিত শিল্পীরা।
সংগীত শিক্ষক মোঃ শহিদার রহমান বলেন, নিয়মিত শিল্পীরা এসে গান শিক্ষছে।শুধু গান নয় কবিতা আবৃত্তি শিক্ষক মোঃ মাহামুদুল হাসান বিকালে শেখাচ্ছেন কবিতা আবৃত্তি । সন্ধ্যায় নৃত্য, সঙ্গীত, সহ নানা আয়োজনে একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে শরৎ উৎসবের আয়োজন করে সংগীত শিক্ষক সতিষ চন্দ্র বলেন, দীর্ঘদিন পর আলোর ঝলকানি ও সংস্কৃতিকর্মীদের শৈল্পিকতায় নতুন করে প্রাণ ফিরে পেলো একাডেমি মঞ্চ। শরত নিয়ে হেমন্তকালের এ আয়োজনে, দেশাত্মবোধক গান, যন্ত্রসঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য দিয়ে সাজানো ছিল শরৎ উৎসব। সুরের মূর্ছনা, নৃত্যের ঝংকার ও আবৃত্তির দীপ্ত উচ্চারণে হৈমন্তীর সন্ধ্যায় গোটা মিলনায়তনে মূর্ত হয়ে উঠে শারদীয় আবহ। শিল্পকলা একাডেমিতে ফের প্রাণের উচ্ছ্বাস ফিরে আসছে বলেই মনে করছেন সবাই।


0 coment rios: