সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Sunday, July 11, 2021

কোরবানী ঈদ সামনে হলেও কামার পল্লীতে নেই ঠুং ঠাং শব্দ ব্যস্ততা নেই কামারদের

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি : আর কয়েক দিন পরই ঈদুল আযহা কিন্ত করোনা মহামারীতে লকডাউনের কারনে এখন ওদের পন্য তৈরীতে নেই ব্যস্ততা। বছর জুরে ওদের যেমন সময় কাটে এবারও করোনায় লক ডাউনে ওদের খোঁজ কেউ রাখে না। কেউ এসে বলছে না দাদা ঈদ সামনে তাড়াতাড়ি একটা ছোরা,দা বা বটি তৈরী করে দেন। বছরজুড়ে খোঁজ কেউ না রাখলেও ঈদুল আজহার কয়েক দিন আগে থেকেই সবাই খোঁজ নেয় কামারদের কিন্ত এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।

কোরবানির পশুর মাংস আর চামড়া কাটাকাটি করতে প্রয়োজন দা, বটি, ছুড়িসহ বেশ কিছু ধারালো জিনিস। এরপর কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানো, মাংস, হাড় কাটার জন্য এসব জিনিসের প্রয়োজন বলে মুসলমানেরা কোরবানীর পশু গরু ছাগল কেনার পাশাপাশি দা, ছুরি, চাপাতি, বটি, চাকু  ইত্যাদি সরঞ্জাম কিনতো এখন আর কেউ ব্যতিব্যস্ত নয়। অন্য বছর এ সময়টায় তারা দিনরাত ঠুং ঠাং শব্দ করলেও এবার শুধু নীরবতা। নেই ভাঁতি আর তার ফাঁসফুঁস শব্দ।

সরেজমিনে উপজেলার তকিপল হাট, টেপামধুপুর, সারাই, মীরবাগহাট, বকুলতলাসহ বিভিন্ন হাটবাজার এবং কামার পল্ল¬ীতে গিয়ে দেখা গেছে, বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে কোরবানীর এই সময়টাতে তারা তুলনামুলক ভাবে একটু বেশি ব্যস্ত থাকতেন কিন্ত এবারের চিত্র আলাদা। বাজারে লোহার দাম বেশি আর লক ডাউন থাকার কারনে তাদের কাছ থেকে অনেকেই জিনিস কিনতেই আসছে না। তারপরেও জনগনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উপজেলার কিছু কামার এখন ছোট বড় দা, বটি, ছুরি, চাকু সহ কোরবানীর কাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধাঁরালে অস্ত্র তৈরি করে রাখছেন বিক্রির আশায়। নিজপাড়া গ্রামের কামার শিল্পি প্রাণ কিশোর জানান লোহা ও কয়লার দাম বেশী হওয়ায় তাদের এ পেশায় সারা বছর ভাঁটা থাকে তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিতে বাদ্ধ হচ্ছেন। অন্যবার হাসি মুখে অন্নদানগর রোডের কামার শিল্পি আলম বলতেন, সারা বছর কোনো রকমে টেনে টুনে এ পেশা ধরে থাকলেও ঈদে আমাদের কদর বেড়েছে। কিন্ত এবার তার মুখে হাসি নেই, বিষাদঘন মন নিয়ে বললেন আল্লাহ জানে কি হবে, পরিবার পরিজন নিয়ে চলবো কি ভাবে 



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: