সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Wednesday, February 12, 2020

হারাগাছে নকল বিড়ির জমজমাট ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার,কাউনিয়া ঃ কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে নকল বিড়ি, নকল ব্যান্ডরোল দিয়ে বিড়ি ব্যবসা বিড়ি বাজার জাত থামছেই না বেড়েই চলেছে। সরকারকে বিড়ি ব্যবসায়ীরা ফাকি দিয়ে নকল ব্যান্ডরোল দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে বনে যাচ্ছে কোটিপতি।
আজিজ বিড়ির মার্কেট দখল করছে নকল ব্যান্ডরোল দিয়ে পরিচালিত আশিক বিড়ি। এই বিড়ির গাড়ী, বিড়িসহ বিড়ির চালান আটকে দিয়েছে সম্প্রতি মাহিগঞ্জ থানা পুলিশ। নকল সাদৃশ্য ব্যন্ডরোল এর কারনে  গাড়ীর চালক ও গাড়ী পরিবহনকারী সরকার জেল হাজতে রয়েছে। বিড়ির মালিক এর বিরেুদ্ধে মামলা হয়েছে। হারাগাছ থানা ও  হারাগাছ কাষ্টম অফিস থেকে বিড়ি ফ্যাক্টরীর দুরত্ব হেটে যাওয়া যায়। অথচ এই বিড়ি সরকারকে কর ফাকি দিয়ে দেদারছে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে এই বিড়ি তৈরী হয় গঙ্গাচরা থানার গজঘন্টায়। কখনো তৈরী হয় হারাগাছ ভিতর কুটিতে।এই আশিফ বিড়ি লেবেল প্যাকিং গাইবান্ধা জেলার বালুঘাটে। হারাগাছ থানায় ২০১৮ সালে মামলা হয়েছে ২টি বিড়ির মালিকের বিরুদ্ধে, ২০১৯ সালে ১৬টি বিড়ি ও ২০২০ সালে ৩টি বিড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিড়ি গুলো, যমুনা বিড়ি, আসিব বিড়ি, হিরন বিড়ি, তিস্তা বিড়ি, তাজ বিড়ি, মরিয়ম বিড়ি, শিকারি ও সাহেব বিড়ি, শাকিল বিড়ি, মেনাজ ও পদ্মা বিড়ি, ফ্রেশ বিড়ি, ঘরি বিড়ি, তারেক বিড়ি, মনির বিড়ি, আকিজ নকল বিড়ি, মাহিগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে, আশিক বিড়ির নামে। এই সব বিড়ি গুলো নকল সাদৃশ্য ব্যান্ডরোল দিয়ে বিড়ি  উৎপাদন ও বাজারজাত করে। তারা সরকারকে কোটি কোটি টাকার কর ফাকি দিচ্ছে । হারাগাছ থানা পুলিশ নকল বিড়ি ব্যবসায়ীদের ধরছে ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিচ্ছে। গত ৩ বছর ধরে সরকার অনলাইনের মাধ্যেমে বিড়ি কারখানা চালুর জন্য লাইন্সেস প্রদান কার্যক্রম শুরু করে। এত করে হারগাাছ সহ রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ছোট ছোট বিড়ি কারখনা বা বিড়ি ফ্যাক্টরী গড়ে উঠেছে। হারাগাছ ২০/২৫টি বিড়ি ফ্যাক্টরী রয়েছে। তবে হারাগাছের ২/৩টি শীর্য বিড়ি ফ্যাক্টরী নকল ব্যান্ডরোল বিড়িতে লাগিয়ে  বিড়ি ব্যবসা পরিচালনা করছে। ছোট ছোট বিড়ির ফ্যাক্টরীর মালিকরা অসাধু উপায়ে নকল ব্যান্ডরোল বগুড়া, সৈয়দপুরে ছাপিয়ে বা পুরাতন ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল বিড়িতে ব্যাবহার করে বিড়ি হাট বাজারে বিক্রি করছে। এত প্রকৃত বিড়ির মালিকরা ক্ষতির পাশাপাশি সরকারও বিপুল পরিমানে রাজস্ব  হারাচ্ছে। ২০১৮-২০১৯  অর্থ বছরে রংপুর জেলার বিড়ির ব্যান্ডরোল থেকে ৩৩৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। ভুয়া নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার না হলে রাজস্ব আদায়ের পরিমান হতো দ্বিগুন। রংপুর কাষ্টম অফিস সূত্রে জানা গেছে রংপুরে ১৮৭টি বিড়ি ফ্যাক্টরী ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন করেছে। আর যারা কর ফাকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে কাষ্টসম ইতো মধ্যে ৪৫টি বিড়ি ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দিয়েছে। রংপু কাষ্টসম অফিসে অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল মান্নান সর্দাার বলেন এক সময়ে বিড়ি ফ্যাক্টরীর রেজিষ্ট্রেশন সহজ ছিল। তাই অনেকেই রেজিষ্ট্রেশন করিয়েছেন। এখন অনেক নিয়ম কানুন মেনে রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন সরকারের উচিত নকল বিড়ির ব্যান্ডরোল ব্যবহার কারী বিড়ির মালিদের  বিড়ি ফ্যাক্টরীর লাইসেন্স বাতিল করা। তিনি নকল বিড়ি ব্যবসা রোধে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: