সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Monday, January 15, 2024

কাউনিয়ায় সরিষা ফুলের গন্ধে মুখরিত মাঠ- দিগন্ত জুড়ে সরিষা

কাউনিয়া(রংপুর) প্রতিনিধিঃ কাউনিয়ায় দিগন্ত জুড়ে সেজেছে সরিষার ফুলের সমারোহ। চারদিকে তাকালেই দেখা যায় হলুদ রঙের ফুলের সমারোহ। সরিষার মাঠে গেলে ফুলের গন্ধে মন ভরে ওঠে। হলুদ রং মন কেড়ে নেয়। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না হলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষক। এক সময় কাউনিয়ায় আমন ধান কাটার পর বিস্তৃর্ণ জমি পড়ে থাকত। কিন্তু বর্তমানে আমন ধানের জমিতে সরিষার চাষ হচ্ছে। কৃষকরা আশা করছেন এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে। কাউনিয়া উপজেলার শিক্ষিত বেকার যুবক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বেকারত্ব ঘোচাতে সরিষা, আলু,মরিচ,করলা সহ নানা ধরনের ফসল চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। 

তার পৈতৃক ৮ দোন(২ একর) জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। সেখানে দোন প্রতি খরচ হয়েছে ১৬শ' টাকা ৮ দোনে মোট খরচ হয়েছে ১৩ হাজার টাকা। তার গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে  দিগন্ত মাঠে জুড়ে তার সরিষার খেত। ফসলের মাঠ গুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে। শীতকে উপেক্ষা করে সরিষা খেত পরিচর্চার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বেকার যুবক আবু হেনা মোস্তফা কামাল। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষার উৎপাদন খরচ অনেক কম, ভাল দাম পাওয়ায় এবং খেত থেকে সরিষা তুলে ওই জমিতে ইরি বোরো ধান ও পাট চাষ করার সুযোগ থাকায় সরিষা চাষ করেছি। 


আশা করছি  বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে। এছাড়াও উচ্চ ফলনশীল বিজলী প্লাস জাতের মরিচ চাষ করেছেন ২৪শতক জমিতে। এতে তার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। তিনি আরো জানান ৬৫ শতাংশ জমিতে ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে ঝুমকা ও মুনিয়া জাতের করলা চাষ করেছেন। উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের জহির উদ্দিনের পুত্র বেকার যুবক মোস্তফা কামাল বলেন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগে  এম এ পাশ করে দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী নামের সোনার হরিণের পেছনে ছুটেছি। টাকা পয়সা খালু,মামা,দুলাভাই ছাড়া চাকুরী হয়না। তাই চাকুরির পিছনে না ঘুরে সোনার মাটিতে সোনালী ফসল চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের নিজদর্পা গ্রামের কৃষক মামুনুর রশিদ জানান, এ বছর তিনি প্রায় ২৫ দোন (৬একর) জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো রোগবালাই দেখা দেয়নি। উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শাহানাজ স্যার নিয়েমিত খোঁজ খবর নেন। কোনো দূর্যোগ না হলে এবার দোন প্রতি ৩ থেকে ৫ মন সরিষার ফলন হবে। একই কথা জানিয়েছেন উপজেলার রাজিব গ্রামের কৃষক আঃ কাশেম।সাব্দি গ্রামের কৃষক তাজরুল ইসলাম জানান, সরিষা চাষের পরই জমিতে বোরো ধানের চাষ করা যায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৭শ ১০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী চাষ হয়েছে। এছারাও উপজেলায় ৯৬০জন চাষিকে প্রনোদনার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: