সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Tuesday, July 18, 2023

কাউনিয়ায় বানা দিয়ে বেরিকেড সৃষ্টি,রিং জালের কারনে-হারিয়ে যাচ্ছে দেশী মাছ

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি : গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছ এ তিনে মিলে এলাকার মানুষের জীবন যাত্রা প্রান সঞ্চালন ঘটলেও কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে।কাউনিয়ায় মৎস্য দপ্তরের উদাসিনতা ও চায়না দুয়ারী রিং জালের অবাধ ব্যহারে হারিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৪১ প্রজাতির দেশীয়

মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানাগেছে, জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রিং ও কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহার, অপরিমিত কিটনাশক ব্যবহার, জলাশয় দুষন, নদ-নদীর নাব্যতা হ্রাস, উজানে বাধঁ নির্মাণ, নদী সংশ্লিষ্ট খাল-বিলের গভীরতা কমে যাওয়া, ডোবা জলাশয় ভরাট করা, মা মাছের আবাস স্থলের অভাব, মা মাছ ডিম ছাড়ার আগেই ধরে ফেলা, ডোবা নালা ছেকে মাছ ধরা, নদী নালায় বানা দিয়ে বেরিকেড সৃষ্টি করে মাছ ধরা, বিদেশী আগ্রাসী রাক্ষুসে মাছের চাষ ও প্রজননে ব্যাঘাত ঘটার কারণে কাউনিয়ায় অসংখ্য ডোবা-নালা

 থাকার পরও ৪১ প্রজাতির দেশী মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। অস্তিত্ব সংকটে মাছ গুলোর মধ্যে রয়েছে কৈ, মাগুর, শিং, পাবদা, টেংরা, চেলা, পুটি, ডারকা, মলা, ঢেলা, চেলা, কর্তি, চাপিলা, শাল, চোপরা শৌল, বোয়াল, আইর, ভেদা, বুড়াল, বাইম, খলিশা, ফলি, চিংড়ি, মালান্দা, খরকাটি, গজার, শবেদা, চেং,টাকি, চিতল, গতা, পয়া, বালিয়া, উপর চউকা, কাকিলা সহ প্রায় ৪১ প্রজাতির মাছ। রিং জাল আটকের লোক দেখানো দু-একটা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেই মৎস্য বিভাগ এর দায় সারছেন। প্রতিবছর মৎস্য সেবা সপ্তাহে সরকারী ভাবে মাছের পোনা অবমুক্ত করা ছারা অন্য কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না। অনলাইল যুগে অনেকেই অনেক যায়গা থেকে ফোনে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার হচ্ছে না।দেশী প্রজাতীর মাছের প্রজনন বৃদ্ধির বিষয় কোন উদ্যোগ নেই। ফলে মৎস্য ভান্ডার নামে খ্যাত কাউনিয়ায় দেশীয় মাছের আকাল বিরাজ করছে। মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার জানান, দেশী মাছ সংরক্ষনে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এব্যপারে জনগনের সচেনতার কোন বিকল্প নেই। তিনি উল্লেখ করেন কীটনাশকের অবাধ ব্যবহার, কারেন্ট ও রিং জালের ছড়া-ছড়ি ও মা মাছের অভয়াশ্রম গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দেশী মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। সকলে সচেতন হলে আবার দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: