রতন রায়হান, পাঁচ দফাসহ নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে পাঁচ মিনিটের জন্য স্তব্ধ ছিলো রংপুর শহর। চলতি বাজেটে বরাদ্দ পেতে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে প্রতিকী এই কর্মসূচিতে ৫ মিনিটের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়ে রংপুরসহ তিস্তা বেস্টিত ৪ জেলার ১২টি উপজেলার ১৭টি পয়েন্টের রাস্তাঘাট।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সকাল ১১ টায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সামনে জাতীয় সংগীত বাজিয়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি। এসময় রাস্তার দুপাশে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দাড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন পেশার শত শত মানুষ। তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন ও ৫ দফা দাবির সমর্থনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তায় চলাচলরত গাড়ীসহ পথচারীরাও।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্বানির সভাপতিত্বে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
এসময় মেয়র বলেন, উত্তরের জীবনরেখা তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের দারিদ্রতা এখনো কাটেনি। সংসদে আজকের বাজেটে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট রাখার দাবি জানান তিনি। রংপুর অঞ্চলের সংসদ সদস্যদের সংসদে ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান।
তিনি আরো বলেন, চীন-ভারত নির্ভর না হয়ে পদ্মা সেতুর মতো নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে তা না হলে এই আন্দোলন আরও বড় আকারে গড়ার হুমকি দেন তিনি।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, কৃষি নির্ভর উত্তরের প্রায় ২ কোটি মানুষের দুঃখ হল তিস্তা। সেজন্য দ্রুত এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে সেখানে কৃষি নির্ভর কল কারখানা, আধুনিক মৎস্য ব্যবস্থাপনাসহ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।
রংপুর ছাড়াও বিভাগের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলায় একযোগে তিস্তা বেস্টিত ৪ জেলার ১২ টি উপজেলার ১৭ টি পয়েন্টে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
রংপুরের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেনজু, জাতীয় পার্টির রংপুর জেলা সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, বাংলার চোখের চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন আশরাফীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
0 coment rios: