কাউনিয়া(রংপুর)প্রতিনিধিঃ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় ঘরে ঘরে চোখ উঠা রোগের সংখ্যা বাড়ছে। গতএক সপ্তাহে বিভিন্ন এলাকায় ৫-৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে মাত্র বিশ থেকে ত্রিশ জন রোগী। এ ধরনের ইনফেকশন প্রথমে এক চোখে আক্রান্ত
করে পরবর্তীতে অন্য চোখ আক্রান্ত হয়। এতে চোখের পাতা ফুলে যায়, চোখ জ¦ালা পোড়া করে, চোখ থেকে পানি পড়ে, চোখ থেকে সবুজাভ হলুদ রঙের ময়লা জাতীয় পদার্থ বের হয়। ঘুম থেকে উঠার পর দুই চোখের পাতা লেগে থাকে। এটি ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের এক সদস্যের হলে বাকি সদস্যরাও আক্রান্ত হয়।পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের বিফুল চন্দ্র জানান, তার পরিবারে তিন সদস্যর এ রোগে আক্রান্ত। প্রথমে একজনের পরে বাকি দুজনের জনের চোখ উঠে। তিনি আরও জানান,আমাদের এলাকায় প্রায় সবার চোখ উঠেছে।গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়েছিলাম ঔষধ নেই ঘুড়ে আসছি। সরেজমিনে নিজপাড়াসহ কয়েক এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, বেশির ভাগ মানুষ কালো চশমা পরে আছে। কারণ প্রত্যেকেই চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন এ খোঁজ নিয়ে জানাগেছে গণ হারে কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রমণ করেছে। কাউনিয়ার ইতিহাসে পূর্বে এতো চোখ উঠা রোগী দেখা যায়নি। যাদের রোগের উপক্রম বেশি হয় তারাই কেবল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায়।কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ মীর হোসেন জানান, চোখ ওঠা রোগের ইংরেজি নাম কনজাঙ্কটিভাইটিস। এটি ভাইরাস জনিত রোগ। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে রোগ সেরে যায়। হাসপাতালে ঔষধ নেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,হঠাৎ করে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা অনেক তাই ঔষধ শেষ হয়েগিয়েছে আমরা চাহিদা প্রস্তুত করছি আশা করছি কিছু দিনের মধ্যে এ রোগের ঔষধ আসবে।


0 coment rios: