কাউনিয়া(রংপুর)প্রতিনিধিঃ রংপুরের কাউনিয়ায় ছাত্রদলের সাবেক এক নেতার হাতের আঙ্গুল কর্তন নিয়ে উপজেলার হাট বাজারে চলছে নানা গুঞ্জন। বিষয়টির সরজমিন সন্ধানে গিয়ে উঠে আসে নতুন কিছু তথ্য। প্রত্যক্ষদর্শী,পুলিশ এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় গত ১২ ফেব্রæয়ারী কাউনিয়া বাস ষ্ট্যাান্ডের অদূরে নিজপাড়া গ্রামের জমির সীমানা নিয়ে বচচা হয় জনৈক প্রবাসীর কেয়ারটেকার কাউনিয়া দাখিল মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক নুরুল আমিন উপজেলরা সাবেক ছাত্র দল নেতা আকরাম হোসেন অরেঞ্জ এর সাথে।
প্রতক্ষদর্শী পীরগাছা উপজেলার কল্যানী ইউনিয়নের তালুক উপাসু গ্রামের রাজ মিস্ত্রি নিরঞ্জন চন্দ্র রায় জানায় ঘটনার দিন সকালে আমরা প্রবাসীর কেনা জমিতে বাউন্ডারী দেয়াল নির্মানের সময় হঠাৎ করেই আকরাম হোসেন অরেঞ্জ সরকারী রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে বলে দাবী করে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে দুজনের মাঝে হাতাহাতি শুরু হলে অরেঞ্জ নুরুল আমিনকে মাটিতে ফেলে বেধরক মারপিট শুরু করে। আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য নুরুল আমিন চিৎকার করলে অরেঞ্চ তার মুখ চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে অরেঞ্জ এর হাত থেকে বাঁচার জন্য সে তার আঙ্গলে কামর দেয় এবং জীবন বাঁচাতে পার্শ্ববতী হংস মাস্টারের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় হংস মাষ্টারের পুত্রবধূ মল্লিকা রানীর সাথে। তিনি জানান হঠাৎ করেই নুরুল আমিন মাষ্টার দৌড়ে এসে তার বাড়ীর টয়লেটে আশ্রয় নেয়। পরে অরেঞ্জ সংঘবদ্ধ হয়ে তার বাড়ীতে আক্রমন চালায় এবং দরজা জানালায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। পরে পুলিশ এসে নুরুল আমিনকে নিয়ে যায়। এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে অরেঞ্জ ও তার দলবল নুরুল আমিন মাষ্টারের ষ্টেশন রোডের দোকানেও হামলা চালায় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। আকরাম হোসেন অরেঞ্জ জানান সরকারী রাস্তায় নুরুল আমিন দেয়াল নির্মান করছিলো আমি সেটা বাঁধা দিলে তিনি আমার ওপর আক্রমন চালায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডাক্তার নুশরাত জাহান জানান অরেঞ্জ এর ডান হাতের অনামিনা আঙ্গুলে অগ্রভাগ দাঁতের কামড়ে বিচ্ছিন্ন ছিলো। কাউনিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ (তদন্ত) সেলিমুর রহমান জানান অরেঞ্জ এর অভিযোগের ভিত্তিতে নুরুল আমিনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

0 coment rios: