সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Saturday, October 16, 2021

কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ'র ৬৫তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপিত

 বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাংলা সাহিত্যের প্রেম ও দ্রোহের কবি প্রয়াত কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ'র ৬৫তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে মোংলায়।১৯৫৬ সালের এই দিনে বাবার কর্মস্থল বরিশালের আমানতগঞ্জ রেড ক্রস হাসপাতালে জন্ম নেন প্রতিভাবান এই কবি।দিনটি স্মরণে রুদ্র স্মৃতি সংসদ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে মোংলায় কবির পৈতৃক গ্রামের বাড়ি মিঠাখালি কবির সমাধিতে পুস্পস্তবক, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া'র আয়োজন করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ'লীগের সহ- সভাপতি মাহমুদ হাসান ছোটমনি, মিঠাখালী ইউপির

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, সস্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলার আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও রুদ্রের অনুজ সুমেল সারাফাত, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বিল্লাল হোসেন, মিঠাখালী ১ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ উকিল উদ্দিন ইজারদার, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রিজাউল করিম, কবি ছাইফুল্লাহ, মিঠাখালী বাজার বণিক  সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ আমান উল্লাহ্ শেখ,শিরিয়া বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, রুদ্র স্মৃতি সংসদের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ লিটন গাজী, সদস্য মোঃ মাহারুফ বিল্লাহ্, সস্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা মোল্লা আল-মামুন, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সমাজ কল্যাণ  সম্পাদক, মোঃ নুরুল আমীন খোকন, আছাদুজ্জামান টিটো, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ বায়জিদ হোসেন, যুগ্ন সাস্কৃতিক সস্পাদক শরিফুল ইসলাম মিঠুন, আজিজ মোড়ল, নাছির শেখ প্রমূখ।

এই দিন বিকালে মিঠাখালী ফুটবল মাঠে প্রিতি ফুটবল খেলা এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলা ও রুদ্র স্মৃতি সংসদের আয়োজনে সন্ধ্যায় মোংলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্টিত হবে। মহামারীর কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হয়।

রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন দ্রোহ ও প্রেমের কবি। গত শতাব্দীর আশির দশকে পাঠক ও শ্রোতাদের প্রিয় হয়ে ওঠা কবিদের মধ্য একজন তিনি।ডাঃ শেখ ওয়ালিউল্লাহ এবং শিরিয়া বেগমের সংসারে জন্ম নেয়া রুদ্রের পৈতৃক বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার অন্তর্গত সাহেবেরমেঠ গ্রাম। উচ্চ-মধ্যবিত্য পরিবারের ছেলে রুদ্রের শৈশবের বেশিরভাগ সময় কেটেছে নানা বাড়ি মিঠেখালি  গ্রামে।ঢাকা ওয়েস্ট অ্যান্ড হাই স্কুল থেকে ১৯৭৪ সালে এস,এস,সি ১৯৭৬ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচ,এস,সি এবং ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্স এবং ১৯৭৩ সালে এমএ পাশ করেন।সম্মিলিত সংস্থার জোট এবং জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনের পেছনের অন্যতম উদ্যোগী রুদ্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ এর পর তিনি সরকারবিরোধী এবং স্বৈরাচারবিরোধী সকল আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তার কবিতায় একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দেশ প্রেম,গণআন্দোলন,ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অসাম্প্রদায়িকতা সবসময় বলিষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।মাত্র ৩৫ বছরের জীবনকালে তিনি ৭টি কবিতা বই,গল্প নাটক লিখেছেন এবং অর্ধশত গান রচনা করেছেন। তার জনপ্রিয় একটি কবিতা হলো "বাতাসে লাশের গন্ধ"।তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো, ছোবল (১৯৮৬), গল্প (১৯৮৭), দিয়েছিলে সকল আকাশ (১৯৮৮), মৌলিক মুখোশ (১৯৮৯) এবং এক গ্লাস অন্ধকার (১৯৯২)।তার লেখা কবিতা থেকে "ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো" গানটির জন্য ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ চলচিত্র সাংবাদিক সমিতি তাকে মরণোত্তর সেরা গীতিকারের পুরস্কার প্রদান করেন।


তিনি তার দুটি কবিতা গ্রন্থ উপদ্রুত উপকূল (১৯৭৯), ও ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম (১৯৮১) এর জন্য টানা দুবছর সংস্কৃতি সংসদ থেকে মুনির চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।


তার স্বল্পকালীন জীবনে ১৯৮১ সালে নারীবাদী লেখিকা তসলিলা নাসরিনকে বিয়ে করেন রুদ্র। ১৯৮৬ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।  


হতাশার দীর্ঘ লড়াই শেষে ১৯৯১ সালের ২১ শে জুন মারা যান।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: