সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Thursday, October 14, 2021

মোরেলগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিকের জরাজীর্ণ অবস্থা, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

এনায়েত করিম রাজিবঃবাগেরহাট প্রতিনিধিঃতৃণমূল পর্যায়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক অগ্রণী ভূমিকা পালনসহ জনগণের দোরগোঁড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে সচেষ্ট। তবে অবকাঠামোগত জরাজীর্ণতা, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন উক্ত সেবায় নিয়োজিত সেবাদানকারিদের বাঁধার সৃষ্টি করছে। এমনই দৃশ্য দেখা গেছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

সরোজমিনে দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের বেতকাশি কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, দশ বছর আগেই এটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয় এবং এখন থেকে পাঁচ বছর আগেই এটিকে বাগেরহাট সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। পাশ্ববর্তী বেতকাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে বসে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সেবা। ক্লিনিকে উপস্থিত সিএইচসিপি মোঃ ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ স্কুলে বসে সেবা দেওয়া অত্যন্ত কষ্টকর, রোগীদের শৌচাগার ব্যবহার, পানির ব্যবহারে সমস্যা সহ নানাবিধ সমস্যা এখানে বিদ্যমান। প্রায় ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর সেবা দানে এ কমিউনিটি ক্লিনিকটি ব্যবহৃত। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী এখানে আসছেন। মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয় এখান থেকে। নিজস্ব ভবন ব্যবহার করতে পারলে রোগীদের সেবার মান আরেকটু বাড়ানো যেত।’

প্রায় একই দৃশ্য চোখে পড়ল বদনিভাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকেও । নিজস্ব ভবন অত্যন্ত ঝুকিপঁর্ণ হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বদনিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ ব্যবহার করছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান যেকোনো সময় এসব ক্লিনিক ভবন ধ্বসে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ কামাল হোসেন মুফতি বলেন, ‘উপজেলার ৫১ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ২৫ টি ভবন সহ চালু আছে। বাকীগুলোর ভবন ঝুকিঁপূর্ণ হওয়ায় স্থানীয় জনগণ সহ এলাকাবাসীর সহায়তায় বিভিন্ন পন্থায় মোটামুটি কার্যক্রম চলছে। এছাড়া এ উপজেলায় আরও ৪ টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। এগুলো হলো- হোগলাপাশা ইউনিয়নের বৌলপুর কালিয়া মেঘা স্মৃতি কমিউনিটি ক্লিনিক, জিউধরার উত্তর ডেউয়াতলা কমিউনিটি ক্লিনিক,নিশানবাড়িয়ার তুজাম্বর আলী স্মৃতি কমিউনিটি ক্লিনিক । এদের মধ্যে কালিয়া মেঘা স্মৃতি সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে । তবে স্টাফ না দেওয়ার কারণে এটি এখনো চালু হতে পারেনি। আরও একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের অনুমোদন হয়েছে, খুব শীঘ্রই এটির নির্মাণ কাজও শুরু হবে।’উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, উপজেলার জরাজীর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পরিদর্শন করেছি এবং এ ব্যাপারে উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি, তারা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো মেরামত ও পুনরায় নির্মাণ করার আশ্বাস দিয়েছেন ।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: