মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,কাউনিয়া (রংপুর)প্রতিনিধিঃ
কাউনিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের হাট বাজাওে নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব হয়ে গেছে। আইন অমান্য করে কতিপয় অসাধু ব্যাবসায়ী এসব পলিথিন ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছেন। তা ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র স্থানে। এ কারনে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ বলে জানা যায়। জানা গেছে, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে শাস্তির বিধান রেখে আইন করা হলেও কমেনি ব্যবহার। পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহারেও পরিবেশের ক্ষতিরক চিন্তা করে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। তখন বিকল্প হিসেবে কাগজের ঠোঙ্গা ও পাটের ব্যাগের প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তী সময় আইনের প্রয়োগ না থাকায় পলিথিন বিক্রি ব্যবহার বেড়েছে জ্যামিতিকহারে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কাউনিয়ায় বিভিন্য বাজারে পলিথিনের আধিপত্য চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাজারে চাল, ডাল,তেল,সবজি, হোটেলের খাবার,অবাধে ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন। নিষিদ্ধ এসব পলিথিনের কারণে হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
যত্রতত্র পলিথিন ফেলায় ড্রেনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি,মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস,
পুকুর ও নদী দূষণ ক্রমশ বাড়ছে। উপজেলার সানাই মোড়ে বাজার করতে আব্দুস সাত্তার বলেন, পণ্য ক্রয় করলেই পলিথিনে বেঁধে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা । ক্রেতা মোকছেদ আলী জানান, এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । ক্রেতা আলি হোসেন জানান, আগে নিষিদ্ধ পলিথিনের কারখানা বন্ধ করতে হবে। তবেই বাজারে পলিথিনের ব্যাবহার কমে আসবে। তকিপল বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে পাটের ব্যাগ পাওয়া যায়না, কাপড়ের ব্যাগের দাম বেশি। পলিথিনের ব্যাগ সহজে পাওয়া যায়, বহন সহজ, তাই চাহিদা ও ব্যবহার বেড়েছে। তিস্তা কলেজের সহকারি অধ্যাপক ও কাউনিয়া রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি শাহ মোবাশ্বারুল ইসলাম রাজু বলেন, আইনের বাস্তবায়ন ও জনসচেনতা বাড়ালেই নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার রোধ করা সম্ভব। এ ব্যাপারে কাউনিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ মীর হোসেন বলেন, প্লাস্টিক বা পলিথিনে গরম খাবার ঢালার সঙ্গে সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যে বিষাক্ততা তৈরি হয় তা থাইরয়েড হরমোন গঠনে বাধা দেয়। ফলে মস্তিষ্কের গঠনও বাধাগ্রস্থ হয়। পলিথিনের ব্যবহার রোধ না হলে বিকল হতে পারে লিভার ও কিডনি। ক্যান্সারসহ গর্ভবতী মায়ের ভ্রণ নষ্ট হতে পারে। বিকলাঙ্গ হতে পারে শিশুরাও।
0 coment rios: